প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকে আমরা জানবো “খাদ্যে ভেজাল” অনুচ্ছেদ রচনাটি কিভাবে লিখতে হয় । যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
খাদ্যে ভেজাল অনুচ্ছেদঃ
দেশে চলমান দুর্নীতির মধ্যে খাদ্যে ভেজাল অন্যতম। খাদ্যে ভেজাল বলতে বোঝায় খাবারের সাথে নিম্নমানের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মেশানো। ব্যবসায়ীরা তাদের লোভী মনোবৃত্তি থেকে খাবারে ভেজাল দিয়ে থাকে। এর ফলে মানুষের জীবন হুমকির মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। তবে তা উপার্জন করতে হবে সাপথে থেকে। কিন্তু সং ব্যবসায়ীর সংখ্যা আমাদের দেশে নগণ্য। সামান্য মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দিয়ে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিতে, অধিকাংশের বিবেকে নাড়া দেয় না। খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো নিন্দনীয় ও জঘন্য অপরাধ। তাই খাদ্যে ভেজাল এখন আমাদের দেশের একটি জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে প্রায় সব খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল মেশানো হয়। খাদ্যের ধরন হিসেবে আকর্ষণীয় করতে কোনো খাদ্যে কৃত্রিম রং, ওজন বাড়াতে বালি, কাঁকর, পানি মেশানো হয়। এছাড়া কার্বাইড, ফরমালিন ও প্রিজারভেটিভের ব্যবহার ব্যাপক হারে লক্ষ করা যায়। ভেজাল খাবার খেয়ে অনেক মানুষকে অসুস্থতার পাশাপাশি মৃত্যুবরণ করতেও দেখা যায়। তাই জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে খাদ্যদ্রাবকে ভেজালের কবল থেকে মুক্ত করতে দেশের সরকার ও সচেতন নাগরিক সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আরো কঠোর ভূমিকা পালন করতে হবে। ভেজাল এক ধরনের সামাজিক অপরাধ। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন করে তুলতে হবে। ভেজাল খাদ্য কেনা হতে বিরত থাকতে হবে । একটুখানি সর্তকতাই আমাদেরকে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ দিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ সকল অনুচ্ছেদ রচনার লিংক।