প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুগণ, আজকে আমরা জানবো কিভাবে “ই-কমাস বা ই-বাণিজ্য” অনুচ্ছেদ রচনাটি লিখতে হয় । যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
ই-বাণিজ্য (E-Commerce) অনুচ্ছেদঃ
ই-বাণিজ্য (Electronic Commerce) হলো কম্পিউটার প্রযুক্তির সম্পূর্ণ নতুন উদ্ভাবন। এ প্রযুক্তি ব্যবসার ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এনে দিতে সক্ষম। গত ২২ বছর যাবৎ বিশ্বের অন্যান্য দেশে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেও এ প্রযুক্তি প্রচলিত হয়ে আসছে। গত ৮ বছর ধরে আমাদের দেশেও এটি প্রচলিত । সহজে সংজ্ঞায়িত করলে বলা যায়, বিশালাকারের ভবন নির্মাণ না করেও কম্পিউটার প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের সমন্বয়ে ছোট থেকে বড় ধরনের যে কোনো ব্যবসায় স্বল্প স্থানে পরিচালনা করা ই-বাণিজ্য। এখানে অনলাইনে মূল্য পরিশোধ বা মোবাইলে অর্ডার করে সরাসরি মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা থাকে। একটি মাত্র ওয়েব সাইটের মাধ্যমে পুরো ব্যবসায়কে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়। কোম্পানির সকল সুবিধা, পণ্যের দাম ও পণ্য তালিকা, বিশেষ ক্ষেত্রে পণ্যের ছবিও গুলোর সাইটে দেয়া থাকে।
নিজের পছন্দ মতো পণ্য ঘরে বসে মোবাইল ও কম্পিউটারের মাধ্যমে কেনা যায়। কর্তৃপক্ষ পণ্যটি ঠিকানা অনুযায়ী পাঠিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা নেন। কয়েকটি ই-বাণিজ্যিক কোম্পানি আছে, যারা বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে পণ্য পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। আমাজন লিমিটেড (www.amazon.com) এগুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য ই-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- রকমারি লিমিটেড (www.rokomary.com), বিক্রয় লিমিটেড (www.bikroy.com), বিডিজবস লিমিটেড (www.bdjobs.com), আজকের ডিল লিমিটেড (www.ajkerdeal.com) ইত্যাদি। এসব ই-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যাদি, বই এমনকি চাকরির খবর পর্যন্ত সরবরাহ করে থাকে। বাংলাদেশের উন্নয়নে ই-বাণিজ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম ।
আরো পড়ুনঃ সকল অনুচ্ছেদ রচনার লিংক।