প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো কিভাবে “সুন্দরবন” অনুচ্ছেদ রচনাটি লিখতে হয় । যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির জন্য প্রযোজ্য হবে ।
সুন্দরবন অনুচ্ছেদঃ
বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে সুন্দরবন অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সুন্দরবন হচ্ছে পৃথিবীর বৃহত্তম স্বয়ংক্রিয় উৎপাদনশীল ম্যানগ্রোভ বন। নানাধরনের গাছপালার চমৎকার সমারোহ এবং বিচিত্র সব বন্যপ্রাণীর সমাবেশ সুন্দরবনকে চিহ্নিত করেছে এক অপরূপ প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে। সুন্দবনের অধিকাংশ জায়গা বাংলাদেশের বৃহত্তর খুলনা জেলায় এবং কিছু অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পড়েছে। জোয়ার-ভাটার কারণে এখানকার মাটিতে ঝাল পাতার প্রভাব বেশি। মাটি বৈচিত্র্যের কারণে সুন্দরবনের উদ্ভিদকুলও বৈচিত্র্যময়। এর মধ্যে রয়েছে বৃক্ষ, লতাগুল, ঘাস, পরগাছাসহ নানা ধরনের উদ্ভিদ। সুন্দরবনের প্রধান উদ্ভিদ সুন্দরী বৃক্ষ। এছাড়া গেওয়া, গরান, কেওড়া, পশুর, ধুন্দল, বাইন প্রভৃতি প্রধান। এছাড়া সুন্দরবনের প্রায় সব খালের পাড়েই জন্মে গোলপাতা। সুন্দরবনে রয়েছে বিচিত্র ধরনের সব প্রাণী। রয়েল বেঙ্গল টাইগার সুন্দরবনের সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও বিশ্ববিখ্যাত।
আরো পড়ুনঃ সকল অনুচ্ছেদ রচনার লিংক।
এছাড়া রয়েছে চিত্রাহরিণ, মায়াহরিণ, সজারু, বানর, বন্য শুকরসহ নানা ধরনের প্রাণী। রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। যেমন- বক, সারস, হাড়গিলা, লেনজা ইত্যাদি। সমুদ্র উপকূলে দেখা যায় গাংচিল, অলকবুতর। এছাড়া চিল, শকুন, মাছরাঙা, কাঠঠোকরা, পেঁচা, বুলবুল, শালিক, ফিঙ্গে, ঘুঘু, দোয়েল, মুনিয়া প্রভৃতি। সুন্দরবনে প্রায় ৫০ প্রজাতির সরীসৃপ দেখা যায়। সুন্দরবনের বৃক্ষ কাঠের স্থাপনা তৈরিতে, জ্বালানি হিসেবে এবং কাঠ কয়লা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। গোলপাতা শুকিয়ে ঘরের চাল ও বেড়া তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া গোলপাতার রয়েছে অনেক ভেষজগুণ। সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছের ফুল থেকে মধু পাওয়া যায়। সুন্দরবনের রয়েছে অনেক অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক কুচক্রী এ বনের ক্ষতি করে যাচ্ছে, তাদের হাত থেকে এটিকে রক্ষা করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য।