প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা জানতে চলেছি কিভাবে “বাংলাদেশের নদ-নদী” অনুচ্ছেদ রচনাটি লিখতে হয়। যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য হবে ।
বাংলাদেশের নদ নদী অনুচ্ছেদঃ
নদী এদেশের মায়ের মতো, তাই বাংলাদেশের পরিচয়সূচক ‘নদী মাতৃক’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া বাংলাদেশের ওপর জালের মতো বিছিয়ে আছে অসংখ্য ছোট-বড় নদী। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে নদী, শাখা নদী, উপনদী ছড়িয়ে আছে মানুষের সুখ-দুঃখের পাশাপাশি নদী এ দেশের ভৌগোলিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, নদী এ দেশের প্রাকৃতিক রূপটিকেও অনেকাংশে প্রভাবিত করে থাকে। আমাদের দেশের উল্লেখযোগ্য নদীগুলো হলো পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, সুরমা, আড়িয়াল খাঁ, কীর্তিনাশা ইত্যাদি । আমাদের দেশ যেহেতু নদ-নদী প্রধান তাই জীবনযাত্রায় এর প্রভাব অনেক বেশি। নদীর সঙ্গে আমাদের জীবনধারা ওতপ্রোতভাবে বাঁধা। বাংলাদেশের অনেকগুলো জেলায় যাতায়াতের প্রধান ও একমাত্র উপায় হলো নদীপথ। এদেশের অধিকাংশ শহর-বন্দর গড়ে উঠেছে নদীকে কেন্দ্র করে। তাছাড়া নদীতে মাছ ধরে এ দেশের বহু মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
আরো পড়ুনঃ সকল অনুচ্ছেদ রচনার লিংক।
আমাদের কাব্য-সাহিত্যেও রয়েছে নদীর প্রভাব। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’, ‘অদ্বৈতদের মল্ল বর্মনের তিতাস একটি নদীর নাম ও হুমায়ুন কবিরের ‘নদী ও নারী’ ও আলাউদ্দিন আল আজাদের ‘কর্ণফুলী’ উপন্যাসে এর পরিচয় পাওয়া যায়। নদী আমাদের নিত্যদিনের সাথী। কখনো কখনো ভয়ঙ্কররূপী হয়ে উঠলেও প্রকৃতপক্ষে নদীর উপকারিতার দিকটা অনেক বেশি। জেলে ও মাঝিদের জীবিকা নির্বাহের পথ তৈরি করে দেয় আমাদের এসব নদ-নদী । অনাবৃষ্টির ক্ষেত্রে নদী হয়ে ওঠে কৃষকদের চাষাবাদের প্রধান সহায় । তাই নদ-নদী আমাদের সামাজিক, প্রাকৃতিক, অর্থনৈতিক ও ভৌগোলিক অবস্থানের সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত নদীর নাব্যতা ধরে রাখতে যথাসময়ে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে জমে থাকা পলি অপসারণ করতে হবে।