প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো কিভাবে “ফ্লাইওভার” অনুচ্ছেদ রচনাটি লিখতে হয় । যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য হবে ।
ফ্লাইওভার অনুচ্ছেদঃ
বিজ্ঞান আমাদের জীবনকে করেছে গতিশীল ও বিড়ম্বনাযুক্ত। সভ্যতার বিকাশে মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আবিষ্কার, আন-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও নিরাপদ নগর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ফ্লাইওভার বা উড়ালসেতুর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে মানুষ। একটি আদর্শ শহরের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য যানজটমুক্ত রাস্তাঘাট। কিন্তু শহরে ক্রমবর্ধমান মানুষের বৃদ্ধি ও পরিবহনের আধিক্যের কারণে তৈরি হয়েছে যানজট। আর এ যানজট প্রতিরোধের জন্য নির্মাণ করা হয় ফ্লাইওভার। শহরের মূল রাস্তার ওপর ব্রিজের মতো দীর্ঘ পথকে ফ্লাইওভার বলে। ফ্লাইওভার মূলত প্রধান সড়ক থেকে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠে কিছুদূর আনুভূমিকভাবে মেয়ে আবার ধীরে ধীরে নিচের দিকে মূল রাস্তার সাথে মিলে যায়।
ফ্লাইওভারের নিচে পাশাপাশি দুটি করে নির্দিষ্ট ব্যবধানে অসংখ্য পিলার থাকে। ফ্লাইওভারের সবচেয়ে সুবিধা হয়েছে যানবাহনকে বেল ক্রসিং বা কোনো ট্রাফিক সিগন্যালের সম্মুখীন হতে হয় না। ফ্লাইওভার সাধারণত ব্যস্ততম শহরেই দেখা যায়। এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে নিচের মূল রাস্তার ওপর যানবাহনের চাপ অনেক কমে যায়। অনেক দেরিতে হলেও বাংলাদেশে ফ্লাইওভার নির্মিত হয়েছে এবং আরো ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রথম ফ্লাইওভারটি বনানী-মহাখালী এলাকায় অবস্থিত। সাম্প্রতিককালে (২০১৩) মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার নির্মাণের মধ্য দিয়ে শহরের যানজট ও চলাচলে ভোগান্তি অনেক কমেছে। এগুলোর সঠিক ব্যবহার ও যত্ন নিতে হবে।