প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো কিভাবে “পথশিশু” অনুচ্ছেদ রচনাটি লিখতে হয় । যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য হবে।
পথশিশু অনুচ্ছেদঃ
পথশিশু বলতে বোঝায় পথে পথে কর্মহীন ঘুরে বেড়ায় যে শিশু। অর্থাৎ, যারা আশ্রয় ও অভিভাবকহীন। বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট রফিকুন্নবী, এসব শিশুদের নাম দিয়েছেন, ‘টোকাই’। টোকাই নামের মধ্যে রয়েছে এসব শিশুর পরিচয়। তারা ভুলে যায় না এবং সমাজের সুযোগ-সুবিধা তথা মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। নোংরা-ময়লা পোশাক পরে পথে-প্রান্তরে এমন কি ডাস্টবিনে ময়লার মধ্যে পরিত্যক্ত জিনিসপত্র টোকায়। খেয়ে না খেয়ে এদের প্রতিটি দিন কাটে। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পথশিশুদের জীবন চলতে থাকে । অথচ শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ। উন্নত দেশে শিশুদের ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে তাদের পরিচর্যা মাতৃগর্ভ থেকেই শুরু হয়। আর আমাদের দেশে জন্মের পর হাঁটতে শিখলেই শিশুরা ঘুরতে থাকে অনিশ্চয়তার পথে।
অশিক্ষা, দারিদ্র্য আর জীবিকার দুর্ভাবনায় শিশুরা যোগ্য হয়ে বেড়ে উঠতে পারে না। এক্ষেত্রে শিশুদের অভিভাবকরা নানা সীমাবদ্ধতার কারণে উদাসীনতার পরিচয় দেয়। এসব শিশুরা একদিকে যেমন যোগ্য হয়ে ওঠে না, অন্যদিকে অল্প বয়সেই তারা মারাত্মক রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। এছাড়া তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পরে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক অবক্ষয়ের সৃষ্টি হয়। এসব পথশিশুদের কল্যাণে বা সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে সরকার বা বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান অথবা, সমাজের ধনাঢ্য শ্রেণির ব্যক্তিদের এগিয়ে না আসাটা অত্যন্ত দুঃখজনক। পথশিশুদের দায়িত্ব নিলে এরা বেড়ে উঠত সত্যিকারের মানুষরূপে এবং সুনাগরিক হিসেবে। এরা পথশিশু নয়, পথকলি। এদের বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই সমগ্র জাতি বন্ধ, সুন্দর ও সুবাসিত হবে।
আরো পড়ুনঃ সকল অনুচ্ছেদ রচনার লিংক।