কৃষি উন্নয়নে বিজ্ঞান অনুচ্ছেদ রচনা (৬, ৭, ৮, ৯, ১০ শ্রেণি)

Posted on
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো কিভাবে “কৃষি উন্নয়নে বিজ্ঞান” অনুচ্ছেদ রচনাটি লিখতে হয় । যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য হবে ।
 
কৃষি উন্নয়নে বিজ্ঞান অনুচ্ছেদঃ
বিজ্ঞানের আবিষ্কার প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনকে উন্নত থেকে উন্নততর করে তুলছে। মানবসভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ঘটেছে তার প্রত্যেকটির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিজ্ঞানের অবদান রয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে কৃষি উন্নয়নে যে অভাবনীয় সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে তা কেবল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুণেই। আদিম পদ্ধতির পরিবর্তে আজ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ শুরু হয়েছে। যার ফলে দেশের খাদ্যের চাহিদা এখন পূর্ণমাত্রায় মেটানো সম্ভব হচ্ছে। এতদিন আমাদের কৃষি ছিল প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। বর্তমানে আমরা গভীর ও অগভীর নলকূপের সাহায্যে ভূ-অভ্যন্তরের পানি তুলে চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করছি। পাওয়ার পাম্পের সাহায্যে নদী ও খালের পানি জমিতে নিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো আজ আর প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল নয় ।
বর্তমানে খেতখামারে উন্নতমানের বীজ ব্যবহারের ব্যাপকতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিরন্তর বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা বীজের উন্নয়নসাধন করা হচ্ছে। এসব বীজ ব্যবহার করায় উৎপাদন বেড়েছে। কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উচ্চ ফলনশীল ও দ্রুত ফলনশীল শস্যের বীজ উদ্ভাবনে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে। সৃষ্টির আদিকাল থেকে শস্য উৎপাদনের ফলে জমির স্বাভাবিক উৎপাদক শক্তি হ্রাস পেয়েছে। বৈজ্ঞানিক উপায়ে সার উৎপাদন পদ্ধতি আবিষ্কৃত না হলে এতদিন কোটি কোটি লোক অনাহারে মারা যেত। উন্নত দেশে সারের ব্যবহার অনেক বেশি। আমাদের দেশেও বৈজ্ঞানিক উপায়ে কারখানায় সার উৎপাদিত হচ্ছে, ফলে জৈব সারের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস পেয়েছে এবং ফলনও বৃদ্ধি পেয়েছে। বস্তুত কৃষিক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব। আমাদের দেশ যেহেতু কৃষিপ্রধান তাই কৃষিক্ষেত্রে আমাদের আরও গুরুত্ব দেয়া দরকার। আর সেটি সম্ভব বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে আমরা কৃষিকাজে অবশ্যই বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেষ্ট হবো ।

আরো পড়ুনঃ সকল অনুচ্ছেদ রচনার লিংক।

Leave a Reply