কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অনুচ্ছেদ রচনা (৬, ৭, ৮, ৯, ১০ শ্রেণি)

Posted on
প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুগণ, আজকে আমরা জানবো “কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত” অনুচ্ছেদ রচনাটি কিভাবে লিখতে হয়। যা ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য হবে ।
 
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত অনুচ্ছেদঃ
বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত অন্যতম। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এর দৈর্ঘ্য ১৫৫ কিলোমিটার। এর চেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত পৃথিবীর আর কোথাও নেই। কক্সবাজার জেলায় বঙ্গোপসাগরের তীর ঘেঁষে এ সমুদ্রসৈকত অবস্থিত। শুধু সারা দেশের মানুষ না পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন পর্যটকরা এখানে ঘুরতে আসেন। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত দেখতে খুবই সুন্দর। সাগরের ঢেউগুলো সমুদ্র সৈকতে এসে আছড়ে পড়ার দৃশ্য খুবই মনোরম লাগে। সাগরের বলে অনেকে রান করে। সমুদ্র সৈকতের আরেক নাম বেলাভূমি। বেলাভূমি শুধু বালি আর বালি । কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে বিভিন্ন দোকান। 
 

আরো পড়ুনঃ সকল অনুচ্ছেদ রচনার লিংক।

ঝিনুক ও পুতির মালাসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস এখানে পাওয়া যায়। এছাড়া আছে বার্মিজ মার্কেট। সমুদ্রসৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে অপূর্ব অনুভূতি জাগে। অনেক দর্শনার্থী সেখানে ছবি তোলে। সাগরের গর্জন, নীল জল, ঢেউ আর বিস্তৃত আকাশ মানুষকে মুগ্ধ করে। আকাশ আর সাগরের বিশালতা সমুদ্র সৈকতে গেলেই শুধু দেখা যায়। সমুদ্র সৈকতের এক দিকে জল আর জল, পেছনে পাহাড় আর দু পাশে বালি। এ রকম বৈচিত্র্যপূর্ণ জায়গা একমাত্র সমুদ্র সৈকতে এলেই উপভোগ করা যায়। এ কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ সমুদ্র সৈকত দেখতে আসে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটন শিল্প হিসেবে গড়ে উঠেছে। এর অর্থনৈতিক গুরুত্বও অনেক। এর রক্ষণাবেক্ষণে সরকারসহ সকলের এগিয়ে আসা উচিত। এটি আমাদের ঐতিহ্য। এ ঐতিহ্য যেন কিছুতেই তার সৌন্দর্য না হারায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।