প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা, আজকে আমরা জানবো কিভাবে “অভিধান” অনুচ্ছেদ রচনাটি লিখতে হয় যা । ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর জন্য প্রযোজ্য হবে ।
অভিধান অনুচ্ছেদঃ
‘অভিধান’ শব্দের অর্থ শব্দকোষ বা শব্দভারার। যে বইতে শব্দের অর্থ, উৎপত্তি, বিশ্লেষণ, প্রয়োগ, সমার্থ, বিপরীতার্থ প্রভৃতি সংযোজন করা থাকে তাকে অভিধান বলে। অভিধানে বর্ণক্রম অনুসারে শব্দগুলোকে সাজানো হয়। অভিধান বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। কোনো অভিধানে শব্দের অর্থ দেয়া থাকে, কোনোটিতে উচ্চারণ আবার কোনোটি ব্যবহারিক অভিধান হিসেবে পরিচিত। এছাড়া আঞ্চলিক ভাষারও অভিধান রয়েছে। রয়েছে চরিতাভিধানও। আরেক ধরনের অভিধান খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে অনুবাদ অভিধান। ভাষার শব্দকে আরেক ভাষার রূপান্তর। যেমন : বাংলা থেকে ইংরেজি বা আরবি থেকে বাংলা, ইংরেজি থেকে বাংলা ইত্যাদি । অভিধান যে রকমই হোক না কেন এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের প্রয়োজনীয় শব্দ লিপিবদ্ধ করা, যাতে যে কেউ সহজে তার কাঙ্ক্ষিত শব্দটি খুঁজে পায়। বানান বা উচ্চারণ নিয়ে প্রায়ই তর্ক-বিতর্ক বা সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যায় অনেককে।
বিতর্কের অবসান ঘটাতে অভিধানের বিকল্প নেই। কারণ অনেক গবেষণা করে ভাষা সম্পর্কে বিজ্ঞজনরা সঠিক শব্দটিই অভিধানে অন্তর্ভুক্ত করেন। বহু বিজ্ঞজন ও কবি-সাহিত্যিকদের সম্মিলিত মতামত, দীর্ঘকালীন চর্চা ও সিদ্ধান্তের ফসল হচ্ছে অভিধান। অভিধান ছাত্র-ছাত্রী, কবি-সাহিত্যিকসহ অনুসন্ধিৎসু সকল মানুষের কাজে আসে। তাই প্রত্যেক ভাষার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ অভিধান থাকা জরুরি । একজন মানুষ কখনও একটি ভাষার সকল শব্দ মুখস্থ করে স্মৃতিতে ধারণ করাতে পারে না। তাছাড়া ভাষার সঙ্গে শব্দ প্রতিনিয়ত পরিবির্ভূত হতে থাকে। তাই ভাষা বা শব্দের মৌলিকত্বের জন্য অভিধান আবশ্যক। প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষের কাছে তার ভাষার অভিধান থাকা জরুরি। আমাদের বাংলা ভাষার অভিধানের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অত্যাবশ্যক। তাহলে এটি আরও বেশি কাজে লাগবে ।
আরো পড়ুনঃ সকল অনুচ্ছেদ রচনার লিংক।